নিজেদের বরাদ্দকৃত খাদ্য বাঁচিয়ে দুর্গম অঞ্চলে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনী
প্রকাশিতঃ
রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০
১৫৭
বার পড়া হয়েছে
মোঃ আবদুর রউফঃ
সেনাসদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া খাদ্যের একটি অংশ বাঁচিয়ে খাগড়াছড়ির দুর্গম অঞ্চলে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে আটকে পড়া অসহায় ঘরবন্দী মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন ২০৩ পদাতিক খাগড়াছড়ি ব্রিগেড ও ২৪ পদাতিক গুইমারা আর্টিলারি ব্রিগেডের সেনা সদস্যরা কাধে অস্ত্র আর হাতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দিন-রাত ছুটে চলছে পাহাড় থেকে পাহাড়ে। এ যেন এক কাঁধে অস্ত্র, আর অন্য হাতে মানবতা।
শত্রুকে ধ্বংস করতে তাদের যেমন রয়েছে দৃঢ় লক্ষ্য তেমনি মানবতাকে আগলে রাখার মতোও রয়েছে তাদের সুপ্রশস্ত মানবিক মন। এ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
করোনায় ঘরবন্দী অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সারা দেশ যখন লকডাউনে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বন্ধ রয়েছে মানুষের আয়ের সব পথ, খাদ্য সংকটে যখন দিশেহারা মানুষ, তখন এই অসহায় মানুষের পাশে মনবতার হাত বাড়ালো সেনাবাহিনী। খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে মহামারী করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিতে পাহাড় থেকে পাহাড়ে ছুটে চলছে সেনাসদস্যরা।
খাগড়াছড়ি ব্রিগেডের সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি।
অসহায় এক নারীর হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছে গুইমারা সাবজোন কমান্ডার মেজর জুনায়েদ বিন কবিরের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা।
গুইমারা ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান বলেন, যেকোন দূর্যোগ মোকাবেলা করার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের অসহায় মানুষের পাশে ছিল। আজ সেনাবাহিনী পাহাড়ে যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে তা সরকারি ত্রাণ নয়। তা মূলত সেনাসদস্যদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের একটি অংশ বাঁচিয়ে পাহাড়বাসীর মাঝে তুলে দেয়া হচ্ছে। আমরা পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।